চাঁদপুরের মেঘনায় দুই যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার আলুরবাজার এলাকা থেকে চাঁদপুর শহরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রলার দুটিতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা জানান, দেশি অস্ত্র ও পিস্তল ঠেকিয়ে তাদেরকে মারপিট করে ডাকাতদল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদলের হামলায় বেশ কয়েকজন ট্রলার যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে নৌপুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করে। ঘটনার শিকার যাত্রীরা জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড় আলুরবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের যাত্রীদের নিয়ে কয়েকটি ট্রলার চাঁদপুর শহরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রলারগুলো মাঝ নদীতে আসার পর স্পিডবোটযোগে দেশি অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে ১২-১৫ জনের একদল ডাকাত হামলা করে। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারপিট করে যাত্রীদের। এ সময় যাত্রীদের সঙ্গে থাকা বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। ডাকাতদলের হাত থেকে নারী ও শিশুও রক্ষা পায়নি। তাদের কান ও গলা থেকে অলঙ্কার নিয়ে যায়। যাত্রীরা আরো জানান, তাঁরা সবাই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ফরিদপুর, বরিশাল ও আশপাশের জেলার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওইসব এলাকা থেকে সড়কপথে আলুরবাজার পৌঁছন। পরে দুটি ট্রলারে ৫০-৬০ যাত্রী মিলে চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন পোঁছানোর কথা ছিল। ডাকাতদলের হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর এলাকার মজিবুর রহমান (৪৫), তাঁর ভাই শাহাদাত হোসেন (৪২), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মর্জিনা বেগম (৫০), জরিনা আক্তার (৩০) ও চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশনের বেপারী (৪৫)। এদিকে, নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। পরে নৌপুলিশের বেশ কয়েকটি স্পিডবোট অভিযানে যায় নদীতে। সেখান থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ট্রলারের দুই মাঝিকে আটক করা হয়। রবিবার রাতে নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের ব্যবহৃত স্পিডবোট রাতে মুন্সিগঞ্জ থেকে আটক করেছে নৌপুলিশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।